ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটটি ভোটকেন্দ্রে তিন স্তরের নিরাপত্তা কার্যকর থাকবে।
প্রথম স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি ও প্রক্টরিয়াল টিম দায়িত্ব পালন করবে। দ্বিতীয় স্তরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে এবং তৃতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতটি প্রবেশমুখে সেনাবাহিনী ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ হিসেবে অবস্থান করবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী সরাসরি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে। ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সেনাসদস্যরা ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখবেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। সভায় ডাকসু নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক নাসরিন সুলতানা, অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, অধ্যাপক এস এম শামীম রেজা, অধ্যাপক তারিক মনজুর, সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীরসহ হল রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে ডাকসু এবং হল সংসদ পর্যায়ের ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী নিরাপত্তা নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোট গণনার সময় অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারও প্রবেশাধিকার থাকবে না। নির্বাচনের সাত দিন আগে থেকে আবাসিক হলে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। নিয়মিত টহলের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। ছাত্রীদের হলে বহিরাগত প্রবেশ সব সময়ের মতোই নিষিদ্ধ থাকবে।
অতিরিক্তভাবে জানানো হয়, নির্বাচনের আগের দিন (৮ সেপ্টেম্বর) ও ভোটের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন বন্ধ থাকবে। নির্বাচনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পুরোপুরি সিলগালা থাকবে। বৈধ শিক্ষার্থী, অনুমোদিত সাংবাদিক এবং নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ক্যাম্পাসের বাইরে থাকা শিক্ষার্থীদের ভোটদানের জন্য বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত বাস সার্ভিস চালু করা হবে, যার নির্বিঘ্ন চলাচলে পুলিশ সহযোগিতা করবে।