ChatGPT said:
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নিয়োগপ্রক্রিয়া দুই বছর ধরে স্থবির হয়ে আছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে প্রথম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও এখনো মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা) অনুষ্ঠিত হয়নি। এতে চাকরিপ্রত্যাশীরা দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও অনিশ্চয়তায় রয়েছেন।
বার কাউন্সিল সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর ছয়টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পদগুলো হলো—সহকারী পরিচালক (ডিউস কালেকশন), সহকারী পরিচালক (অডিট), সহকারী পরিচালক (ট্রেনিং-এনরোলমেন্ট), নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, নিম্নমান সহকারী কাম টেকনিশিয়ান এবং নিম্নমান সহকারী।
দীর্ঘ স্থগিতের পর ২০২৪ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি একই বিজ্ঞপ্তি পুনঃপ্রকাশ করা হয়। তখন নতুন করে তিনটি পদ যোগ হয়—সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ট্রেনিং), অফিসার ও উচ্চমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৫ জুলাই লিখিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হলেও তা স্থগিত হয়। পরে ১২ জুলাই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফল প্রকাশের পর ২০ জুলাই মৌখিক পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা আবার স্থগিত হয়ে যায়।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা জানাচ্ছেন, দুই বছর ধরে অনিশ্চয়তায় থাকার ফলে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। একজন প্রার্থী বলেন, “লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি, এখন শুধু ভাইভা বাকি। অথচ মাসের পর মাস কোনো খবর নেই।” আরেকজন প্রার্থী জানান, “একটি চাকরির জন্য দুই বছর অপেক্ষা করা অমানবিক। একটি চাকরি একটি পরিবারকে বাঁচাতে পারে।”
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার (জেলা ও দায়রা জজ) বলেন, “আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। বার কাউন্সিলের পরবর্তী মিটিংয়ে নিয়োগের বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে রাখা হবে।”
চাকরিপ্রত্যাশীরা আশা করছেন, আর বিলম্ব না করে দ্রুত মৌখিক পরীক্ষা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।