দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খিয়ারমামুদপুর গ্রামে বিস্তীর্ণ জলভূমিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে শাপলার বিল। বর্ষার জলে ভরে ওঠা এ বিলে সাদা শাপলার শোভা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। বিলের বুক চিরে এগিয়ে চলা কাঠের নৌকায় চড়ে প্রতিদিন শত শত দর্শনার্থী প্রকৃতির এ মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।
স্থানীয়দের মতে, প্রায় ৬০০ বিঘা আয়তনের এই বিলের পশ্চিম অংশের নাম ‘আমরুল বিল’ এবং পূর্ব অংশের নাম ‘কাললা বিল’। মৌসুমে এখানে শুধু শাপলা ও শালুকই নয়, কই, মাগুর, টাকি, পুঁটিসহ নানা প্রজাতির মাছও পাওয়া যায়। স্থানীয় জেলেরা ভোরে মাছ ধরে বিলপাড়েই বিক্রি করেন। অনেক দর্শনার্থী পছন্দমতো মাছ কিনে বাড়ি ফেরেন।
শাপলার সৌন্দর্য দেখতে আসা পর্যটকদের ভ্রমণে সহায়তা করছে স্থানীয় শিশুরাও। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুরাদ (১০) প্রতিদিন স্কুলের ফাঁকে নৌকা চালিয়ে ভ্রমণকারীদের বিলের সৌন্দর্য ঘুরে দেখায়। প্রতি ট্রিপে সে ১০০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া নেয়, দীর্ঘ ভ্রমণে কখনো ৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়।
স্থানীয় শিল্পী ও দর্শনার্থীরা বিলের মাঝখানে বাঁশের টংয়ে বসে আড্ডা ও গান পরিবেশন করেন। কেউ কেউ এই বিলকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উন্নয়নের দাবি তুলছেন। দর্শনার্থী রাশেদুজ্জামান শাওন বলেন, “বিলের দক্ষিণ পাশে ভারত সীমান্ত, মাঝখানে ছোট জঙ্গল আর চারপাশে শাপলা। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ।
বিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সালমা আক্তার জানান, খিয়ারমামুদপুর গ্রামের শাপলার বিল সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। শিগগিরই বিলটি পরিদর্শন করে পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।