অন্তর্বর্তী সরকার নুরুল হকের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাঠিপেটা করার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। আজ শনিবার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, নুরুল হক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতা এবং গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার আদায়ের পক্ষের সাহসী রাজনীতিবিদ। তার ওপর নৃশংস হামলা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের স্পিরিটে আঘাত হিসাবে দেখা হচ্ছে।
অন্তর্বর্তী সরকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রভাব বা পদমর্যাদা যাই হোক, জড়িত কেউ জবাবদিহি থেকে মুক্তি পাবে না। তদন্ত স্বচ্ছ ও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে।
নুরুল হক ও তার দলের আহতদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।
বিবৃতিতে নুরুল হকের অতীত রাজনৈতিক ভূমিকা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে তিনি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। জুলাই ২০২৪-এর গণ অভ্যুত্থানে তাকে গ্রেপ্তার ও হেফাজতে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিল। নুরুল হক স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
অন্তর্বর্তী সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে, জনগণের ইচ্ছা জয়ের অঙ্গীকার করেছে এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হতে দেবেনা বলে জানিয়েছে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। জাপার কার্যালয়ের সামনে মিছিলের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনী লাঠিপেটায় নুরুল হকসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন। গুরুতর আহত নুরুল হকসহ ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
জাপা ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে হামলার ঘটনায় উভয় পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগ করতে বাধ্য হয়েছিল। এ ঘটনায় সেনাবাহিনীর পাঁচজন সদস্যও আহত হয়েছেন।