বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, “মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে জনগণকে একত্রিত করার লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। দলটি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার অঙ্গীকারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পরপরই আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে স্থায়ী করার জন্য একদলীয় বাকশালী শাসন ব্যবস্থা চালু করে গণতন্ত্রকে হত্যা করে এবং এতে দুর্ভিক্ষে ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, গত ৪৭ বছরে বিএনপি বারবার সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন ও কল্যাণে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। “শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে ৮০’র দশকে সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ইতিহাস আজও উজ্জ্বল,” বলেন তারেক রহমান।
বিএনপি ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে সাংবিধানিক সংশোধনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী, নারী ক্ষমতায়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিল্প খাতে যুগান্তকারী অগ্রগতি বিএনপির সরকারের সময় অর্জিত হয়েছে।
তিনি জানান, “জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুণ্ন রেখে বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও দেশমাতৃকার সেবায় নিবেদিত থাকবে।” দেড় দশকের আওয়ামী শাসনে নিহত নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, “প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে কেবল তখনই, যখন আইনের শাসন, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ, সংবাদপত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।
তারেক রহমান আশা প্রকাশ করেন, “দেশে আর কখনো গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, টাকা পাচার বা নারী-শিশুর ওপর সহিংসতা ফিরে আসবে না। জনগণের অধিকার আদায়, দুঃখ-কষ্ট লাঘব এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।