অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির নেতারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। উজ্জীবিত মেজাজে বৈঠক শেষ হওয়ায় দলটি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে একই সময়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের নেতারা হতাশার কথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে আট সদস্যের প্রতিনিধি দল। এর মধ্যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান না থেকে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ অংশ নেন। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে সরকারের পক্ষে ছিলেন খলিলুর রহমানসহ অন্যান্য উপদেষ্টা।
বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচনের বিকল্প নেই। যদি কেউ এ বিষয়ে অন্য কোনো পথ ভাবে, তা জাতির জন্য বিপজ্জনক।” সূত্রের খবর, তিনি সকল দলের সঙ্গে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নির্বাচন ও তার অবাধ-সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে একমত। তবে দেশের কিছু সিদ্ধান্ত জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে।” এনসিপির আরিফুল ইসলাম আদীবও বলেছেন, “আগামী নির্বাচন যেন সংবিধান ও আইনের ভিত্তিতে গণপরিষদ নির্বাচন হয়।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, অধ্যাপক ইউনূস বিএনপির সঙ্গে অ্যালাই করে দ্রুত ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে চাইছেন। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপির প্রতি তার মনোযোগ কমছে বলে মনে করা হচ্ছে।