আফগানিস্তানের পাহাড়ি এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর জরুরি উদ্ধার তৎপরতার জন্য আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে তালেবান সরকার।
কুনার ও নানগারহার প্রদেশের কয়েকটি এলাকায় স্থানীয়রা গত রোববার রাতে ভূমিকম্পের পরাঘাত অনুভব করেছেন। নানগারহার প্রদেশের ২৮ বছর বয়সী পোলাদ নুরি বলেন, তিনি ১৩টি পরাঘাত অনুভব করেছেন এবং মধ্যরাতে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়েছেন। তাঁর মতো কয়েকশ মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে এসেছেন।
কুনার প্রদেশের পুলিশপ্রধান বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্প ও বন্যার কারণে অনেক জায়গায় ভূমিধস হয়েছে এবং সড়ক বন্ধ রয়েছে। এজন্য উদ্ধার কার্যক্রম শুধুমাত্র আকাশপথে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।
তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের সম্পদ সীমিত। তাই ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন, বিশেষ করে হেলিকপ্টার। কুনারের দুটি সূত্র জানিয়েছে, আজ সোমবার ভোরে স্থানীয় মাজার উপত্যকায় অন্তত চারটি হেলিকপ্টার চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে পৌঁছেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি ঘটে। এর উৎপত্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮ কিলোমিটার গভীরে এবং রিখটার স্কেলে মাত্রা ৬।
ভূমিকম্পটি এত তীব্র ছিল যে কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে কাবুলে কম্পন অনুভূত হয়। এছাড়া ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের ইসলামাবাদেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
কুনার প্রদেশে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬২২ জনে পৌঁছেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আরটিএ ও দোহাভিত্তিক আল-জাজিরা ৫০০ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার।