বাংলাদেশ টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ছক্কার দিক থেকে নজর কাড়ছে। এ বছর এখন পর্যন্ত ২২ ম্যাচে দলটি ১০৯টি ছক্কা মেরেছে। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০ ম্যাচে ১৩০ এবং পাকিস্তান ২৫ ম্যাচে ১৩০ ছক্কা করেছে।
গত বছর বাংলাদেশ ২৪ ম্যাচে ১২২টি ছক্কা মেরেছিল। সেটিই ছিল প্রথমবারের মতো এক পঞ্জিকাবর্ষে একশ ছক্কার বেশি মারার রেকর্ড। তবে এ বছর মাত্র ১৪ ম্যাচেই দলটি ১০৯ ছক্কা করে ফেলেছে।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত রেকর্ড ভাঙেন দুই ওপেনার। জাকের আলির ২০২৪ সালের ২১ ছক্কার রেকর্ড প্রথমে ভাঙেন পারভেজ হোসেন, এরপর তাঁকে ছাড়িয়ে যান তানজিদ হাসান।
ম্যাচ শেষে তানজিদ বলেন, উইকেটের আচরণ অনুযায়ী তাঁরা স্বাভাবিক ব্যাটিং করেন এবং দুজনের মধ্যে যোগাযোগ ভালো থাকে। অনূর্ধ্ব–১৯ দল থেকেই একসঙ্গে খেলা শুরু করা এই জুটি এখন জাতীয় দলে ওপেনিংয়ে ভরসা জোগাচ্ছে।
বাংলাদেশ দল এখন আক্রমণাত্মক ব্যাটিং নীতি অনুসরণ করছে। ব্যাটসম্যানদের স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে নিজেদের মতো করে খেলতে। এ পরিবর্তন আনার অংশ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে, যিনি ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকবেন।
তানজিদ জানান, উড তাঁকে ব্যালান্স ও শেপ উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন। যদিও হার্ড হিটিং তাঁর খেলার ধরনে সহজ নয়, তবুও কৌশল প্রয়োগের চেষ্টা চলছে।
ছক্কার এই ধারাবাহিকতা প্রমাণ করছে, টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং মানসিকতায় বড় পরিবর্তন এসেছে।