দেহ গঠন, ক্ষয়পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার জন্য প্রোটিন বা আমিষজাতীয় খাবার অত্যাবশ্যক। দৈনন্দিন খাবারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাওয়া সম্ভব। তবে বিশেষ প্রোটিন শেকের মাধ্যমে অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণের চলও রয়েছে। টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
প্রোটিন শেক সাধারণত ব্যায়ামের পর পেশির ক্ষয়পূরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে বয়স, ওজন ও দেহের অবস্থা অনুযায়ী প্রোটিনের চাহিদা পরিবর্তিত হয়। পেশি গঠন বা ব্যায়ামের পর অতিরিক্ত প্রোটিন দরকার হলে প্রোটিন শেক গ্রহণ উপকারী। তবে অতিরিক্ত গ্রহণ কিডনির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
প্রোটিন শেক একটি সাপ্লিমেন্ট; এটি খাবারের বিকল্প নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক যদি মাঝারি বা ভারী ব্যায়াম করেন, তবে ২০–৩০ গ্রাম প্রোটিনযুক্ত শেক গ্রহণ করা যেতে পারে। হালকা ব্যায়ামের জন্য ১০ গ্রাম প্রোটিনযুক্ত শেক যথেষ্ট। একদিনে একাধিক শেক নেওয়া উচিত নয়।
শেকের প্রোটিন ছাড়াও অতিরিক্ত চিনি ও ক্যালরি থাকা সমস্যার কারণ হতে পারে। এতে স্থূলতার ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই কেনার সময় প্রোটিন, চিনি ও ক্যালরির মাত্রা খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন।
কৃত্রিম চিনি বা আঁশযুক্ত উপকরণ যুক্ত প্রোটিন শেক হজমের সমস্যা বা পেট ফাঁপার কারণ হতে পারে। দুধ বা দুধজাত খাবারে সমস্যা থাকলে দুধযুক্ত শেক এড়িয়ে চলুন।
কিছু প্রোটিন শেকে ভারী ধাতু ও ক্ষতিকর রাসায়নিক থাকতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য শেক বেছে নেওয়া জরুরি। ‘পারফরম্যান্স ব্লেন্ড’-জাতীয় শেকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ক্যালরি ও হজমের সমস্যা হতে পারে।
পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট ও কিছুটা ভিটামিন ডি থাকা শেক বেশি উপকারী। তবে লবণের ওপর বিধিনিষেধ থাকলে অতিরিক্ত ইলেকট্রোলাইট বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।