বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কুঁচকানো স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। ত্বকের কোলাজেন ও ইলাস্টিন প্রোটিন বয়সের সঙ্গে কমে যায়, ফলে চামড়া ঢিলা হয়ে পড়ে।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি (UV রে)
নিয়মিত রোদে থাকলে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয় ও ভাঁজ পড়ে।
পানি ও পানিশূন্যতা
ত্বক স্বাস্থ্যকর রাখতে দিনে পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি পান করা জরুরি। পানি না পেলে ত্বক ম্লান হয়ে কুঁচকে যায়।
ধূমপান ও অ্যালকোহল
এই অভ্যাসগুলো অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি করে, রক্তসঞ্চালন কমায় এবং ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত করে।
অতিরিক্ত চা-কফি
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়ায় এবং শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে, ফলে ত্বক কুঁচকে যেতে পারে।
ঘুম ও মানসিক চাপ
সময়মতো ঘুম ও মানসিক শান্তি ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের অভাব বা চাপ হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ত্বক ক্লান্ত দেখায়।
পুষ্টির অভাব
ত্বকের সুস্থতার জন্য ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, জিংক ইত্যাদি জরুরি। এগুলোর অভাব ত্বককে সহজে কুঁচকাতে পারে।
অভ্যাসগত মুখভঙ্গি
বারবার কপাল বা মুখ কুঁচকালে ত্বকে স্থায়ী রেখা তৈরি হয়।
প্রতিরোধ ও যত্ন
প্রতিদিন মৃদু ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
দিনে সানস্ক্রিন লাগান।
রাতে শোবার আগে ত্বক পরিষ্কার করে উপযোগী ক্রিম ব্যবহার করুন।
মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম বা মেডিটেশন করুন।
খাবারে প্রচুর ফল, শাকসবজি, বাদাম ও মাছ রাখুন।
ভিটামিন সি (কমলা, লেবু, পেয়ারা), ভিটামিন ই (বাদাম, সূর্যমুখী তেল), জিংক (ডাল, মাছ)–সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
দিনে ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন।
অতিরিক্ত ভাজা ও ফাস্টফুড কমাতে হবে।
ধূমপান ও অ্যালকোহল থেকে বিরত থাকুন।
প্রতিদিন ৬–৮ ঘণ্টা ঘুমান।
চিকিৎসা ও পরামর্শ
গভীর ভাঁজ বা দ্রুত বাড়ার ক্ষেত্রে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনে চিকিৎসক মেডিকেল গ্রেড ক্রিম, লেজার থেরাপি, মাইক্রোনিডলিং বা বোটক্স/ফিলার সুপারিশ করতে পারেন।