ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, আগারগাঁও ও কারওয়ান বাজার ছাড়া বাকি ১৪টি স্টেশনে দোকান ভাড়া দেওয়া হবে। দোকানের আয়তন ২০০ থেকে ২ হাজার বর্গফুট পর্যন্ত। ইতিমধ্যে ফাস্টফুড ও কফি শপের জন্য বেশির ভাগ আবেদন জমা পড়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে দোকানে গ্যাসচালিত চুলার অনুমতি দেওয়া হবে না।
একইসঙ্গে বর্তমানে ১১টি ব্যাংকের ১৪৪টি বুথ চালু রয়েছে, যেখান থেকে কর্তৃপক্ষ ভাড়া পাচ্ছে।
উত্তরা উত্তর, আগারগাঁও, ফার্মগেট ও কমলাপুর স্টেশনের নিচে অব্যবহৃত জায়গায় স্টেশন প্লাজা নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে গাড়ি পার্কিং ও দোকান বরাদ্দ দিয়ে আয় বাড়ানো যেতে পারে। তবে এতে যানজটের ঝুঁকি থাকায় এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ সামছুল হক বলেছেন, "মেট্রোরেলের আয় বাড়ানো অবশ্যই জরুরি। তবে যাত্রীসেবা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেই বিষয়টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা রাখতে হবে, রাজনৈতিক প্রভাব বা অনিয়ম ঠেকাতে হবে।"
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, "ভাড়া বাড়ানোর সুযোগ সীমিত। তাই টিকিট বিক্রির আয় বাড়ানোর পাশাপাশি দোকান, ব্যাংক বুথ ও বিজ্ঞাপন থেকে বাড়তি আয় করার চেষ্টা চলছে। এতে কিছুটা হলেও খরচের চাপ কমবে।"