রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপি উল্লেখ করে, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের প্রত্যাশাকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ ধরনের সহিংসতা গণতন্ত্র ও জুলাই চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। মতভিন্নতা থাকতেই পারে, তবে শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া নিছক স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ।
বিএনপি আরও বলেছে, প্রকৃত গণতন্ত্রে বহু দলের অস্তিত্ব অপরিহার্য। কোনো রাজনৈতিক দলের টিকে থাকা জনগণের ইচ্ছা–অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। হুমকি, হামলা বা সহিংস আচরণের মাধ্যমে কোনো রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া বহুদলীয় গণতান্ত্রিক নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এতে ভবনের নিচতলার বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নথিপত্র পুড়ে যায়। কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে থাকা এরশাদের ছবি ও জাপার লোগো ভাঙচুর করা হয়। এমনকি দলীয় চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ছবিও রাস্তায় ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জাপা নেতা–কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
হামলার জন্য গণ অধিকার পরিষদকে দায়ী করেছে জাপা। তবে গণ অধিকার পরিষদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট জাপা ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। তখনও জাপার কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষের কিছুক্ষণ পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরু মারাত্মকভাবে আহত হন। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।