হবিগঞ্জের রেমা–কালেঙ্গা বনে ভোরের আলো ফোটার আগে পৌঁছলে দেখা মেলে শকুনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফিডিং স্টেশন। এখানে নিরাপদ খাবারের মাধ্যমে শকুনরা খায়, যা তাদের বাঁচাতে সাহায্য করে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থা আইইউসিএন ও বন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই উদ্যোগ শুরু হয়।
সেদিন আমরা ১৩টি শকুনকে একসঙ্গে খাবার খেতে দেখলাম, যার মধ্যে পাঁচটি নতুন বাচ্চা। এ বছর রেমা–কালেঙ্গা বনে ১২টি শকুনের বাসা চিহ্নিত হয়েছে। প্রজননকালে সাত মাস ধরে এই ফিডিং স্টেশন চালু থাকে।
শকুন সংরক্ষণে নিরাপদ খাবারের গুরুত্ব অপরিসীম। পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত কিটোপ্রোফেন, ডাইক্লোফেনাক বা ফ্লুনিক্সিনের কারণে মৃত পশুর মাংস খেলে শকুন মারা যায়। বাংলাদেশে এসব ক্ষতিকর ওষুধ নিষিদ্ধ থাকলেও ফ্লুনিক্সিন সম্প্রতি বাজারে প্রবেশ করেছে। নিরাপদ বিকল্প হিসেবে মেলেক্সিক্যাম এবং টলফামেনিক অ্যাসিড ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শকুন সচেতনতা দিবস, যার থিম: ‘ক্ষতিকর ওষুধমুক্ত পরিবেশ, শকুন সংরক্ষণের প্রতিশ্রুতি’। রেমা–কালেঙ্গা বন ও সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশে শকুনের নিরাপদ আবাসস্থল নেই। তাই ক্ষতিকর ওষুধমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।