পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাজধানীতে শনিবার সকাল থেকে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাতীয় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবনসহ নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের দুই পাশে পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা গেছে।
সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছুটে আসেন। আঞ্জুমান-এ আশরাফিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের উদ্যোগে হাইকোর্ট মাজারের সামনে থেকে বড় মিছিল মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে যাত্রা করে। একই সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওয়ার্ল্ড সুন্নি মুভমেন্ট বাংলাদেশের ব্যানারে মুসলমানরা সমাবেশে অংশ নেন।
আজ ১২ রবিউল আউয়াল, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পুণ্য স্মৃতিময় দিন। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী ও রাসুল ছিলেন। তিনি তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং ইসলামের শান্তির ধর্ম প্রচার করেছেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরবের মক্কা নগরের কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দের একই দিনে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। তাঁর পিতা আবদুল্লাহ এবং মা আমিনা। জন্মের আগেই পিতাকে হারানো এবং ছয় বছর বয়সে মাতৃহারা হওয়া তাঁর জীবনচরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
যাহেলিয়ার যুগে, যখন সমগ্র আরব জাহান পৌত্তলিকতা ও অনাচারের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, তখন মহান আল্লাহ হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন বিনয়, সহিষ্ণুতা, দয়া ও সহমর্মিতা সহ মানবিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উদাহরণ। ধর্ম, বর্ণ বা সম্প্রদায় নির্বিশেষে তিনি সর্বদা সর্বজনস্বীকৃত শ্রেষ্ঠ মানবিক গুণের অধিকারী ছিলেন।