ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইজিংয়ে সামরিক কুচকাওয়াজে সি চিন পিং: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয়ের ৮০ বছর পূর্তি উদযাপন

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 3, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: তিয়েনআনমেন স্কয়ারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ও জাপানের বিরুদ্ধে জয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সামরিক কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। ছবির ক্যাপশন: তিয়েনআনমেন স্কয়ারে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ও জাপানের বিরুদ্ধে জয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সামরিক কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং।
ad728

আজ বুধবার বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এক বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে সভাপতিত্ব করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ও জাপানের বিরুদ্ধে জয়ের ৮০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়। এতে যুদ্ধবিমান, ট্যাংক, ক্ষেপণাস্ত্র ও শৃঙ্খলাপূর্ণ সৈন্যদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ৮০ বার কামানের গোলা ছোড়া হয়। জাতীয় সংগীত বাজানোর সময় দর্শকেরা ছোট পতাকা নাড়েন। পতাকা উত্তোলনের পর আকাশে ছেড়ে দেওয়া হয় ৮০ হাজার কবুতর ও ৮০ হাজার বেলুন।

সি চিন পিং মঞ্চ থেকে বলেন, চীনা জাতি কোনো অত্যাচারকে ভয় পায় না এবং নিজেদের শক্তিতে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আত্মত্যাগ ও বর্তমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে সরাসরি যোগসূত্র টেনে শান্তি, সংলাপ ও অগ্রগতির পক্ষে থাকার ঘোষণা দেন। সেনাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কমরেডরা, শুভেচ্ছা! তোমরা কঠোর পরিশ্রম করছ।” সেনারাও স্লোগান দেন, “দলকে অনুসরণ করো! জয়ের জন্য লড়ো!”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনসহ ইরান ও পাকিস্তানের নেতারা। পশ্চিমা দেশগুলোর উচ্চপর্যায়ের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বিশ্লেষকদের মতে, এই উপস্থিতি বেইজিং ও পশ্চিমাদের দূরত্বকে স্পষ্ট করেছে এবং আঞ্চলিক অংশীদারি জোরদারে চীনের সাফল্য দেখিয়েছে।

কুচকাওয়াজে প্রদর্শিত হয় জাহাজ ধ্বংসকারী নতুন মিসাইল, পানির নিচে চালিত ড্রোন ও মানববিহীন যুদ্ধবিমান। এগুলো চীনের সামরিক উদ্ভাবন ও যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়ায় প্রাধান্যের প্রতি চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত বহন করে। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, তাইওয়ান নিয়েও এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।

মাও স্টাইলের পোশাক পরে সি চিন পিং কুচকাওয়াজে উপস্থিত হন এবং চীনে তৈরি ‘রেড ফ্ল্যাগ’ লিমুজিনে দাঁড়িয়ে সেনাদের অভিবাদন জানান। এ আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান কমিউনিস্ট পার্টি নিজেদের বিপ্লবী অতীতের সঙ্গে যুক্ত করেছে।

অনুষ্ঠানের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন, সি চিন পিং তাঁর বক্তব্যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান উল্লেখ করেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের স্বাধীনতার জন্য বিপুল সহায়তা দিয়েছে, অথচ তা স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের বিশ্লেষক রায়ান হাস বলেন, সি চিন পিং চীনকে কেন্দ্রীয় বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন। তিনি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে চীনের স্বার্থ অনুযায়ী পুনর্গঠন করতে চান। অন্য শক্তিধর নেতাদের উপস্থিতি তাঁর লক্ষ্য অর্জনের দিকেই অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ