ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত ৮ শতাধিক, কুনার-নানগারহার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 2, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ভূমিকম্পে আহত এক ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, জালালাবাদ বিমানবন্দর, আফগানিস্তান, ১ সেপ্টেম্বর। ছবি: রয়টার্স ছবির ক্যাপশন: ভূমিকম্পে আহত এক ব্যক্তিকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, জালালাবাদ বিমানবন্দর, আফগানিস্তান, ১ সেপ্টেম্বর। ছবি: রয়টার্স
ad728

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে রোববার মধ্যরাতের একটু আগে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। জাতিসংঘের তথ্যমতে, এতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮ শতাধিক মানুষ। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুনার ও নানগারহার প্রদেশ। ভূমিকম্পের প্রভাব অনুভূত হয়েছে রাজধানী কাবুলসহ দূরবর্তী পাকিস্তানের ইসলামাবাদেও।

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা

কুনার প্রদেশের আসাদাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মতিউল্লাহ শাহাব, যিনি সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মী, জানান যে ভূমিকম্প শুরু হতেই তাঁর ২৩ সদস্যের পরিবার দৌড়ে বেরিয়ে আসে এবং পুরো রাত বাগানে কাটায়। ভোরের আলো ফোটার পর তিনি নিজেই গাড়ি চালিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ি এলাকায় পৌঁছান। পথে ধসে পড়া পাথর পেরিয়ে তাঁকে প্রায় দুই ঘণ্টা হেঁটে আন্দারলাচক গ্রামে যেতে হয়।

গ্রামটিতে গিয়ে শাহাব দেখেন বহু মরদেহ ও আহত মানুষ। শুধুমাত্র ওই গ্রামেই নিহত হয়েছেন প্রায় ৭৯ জন। তিনি বলেন, “আমি অনেক মৃতদেহ দেখেছি। শুধু ওই গ্রামেই যেন সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।”

করুণ পরিস্থিতি

শাহাব জানান, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকে আছেন। আহত শিশুদের মাটির ওপর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বহু পরিবার পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে তিনি কবর খোঁড়ার কাজেও অংশ নেন।

তিনি আরও বলেন, “মানুষের মুখে কোনো কথা নেই। সবাই যেন রোবটের মতো দাঁড়িয়ে আছে।”

উদ্ধারকাজে সংকট

ভূমিকম্পের পর অনেক সড়ক ধসে যাওয়ায় তালেবান প্রশাসন উদ্ধারকাজে চরম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কিছু এলাকায় কেবল হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। তবে বহু দুর্গম স্থানে এখনো উদ্ধারকারী দল পৌঁছাতে পারেনি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা মানুষদের দ্রুত উদ্ধার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

শাহাব নিজ চোখে দুই নারীকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার হতে দেখেছেন। তবে তালেবান প্রশাসনের নীতির কারণে নারীদের ছবি তোলা নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি তা নথিবদ্ধ করতে পারেননি।

ত্রাণের জরুরি প্রয়োজন

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো হাজারো মানুষ খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। তাঁদের জরুরি ভিত্তিতে তাঁবু, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দরকার বলে জানিয়েছেন মতিউল্লাহ শাহাব।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ