ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সংকটে ১১ দেশ বাংলাদেশের পাশে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যাবাসনে সহায়তার প্রতিশ্রুতি

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 25, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসছেন, আশ্রয়শিবিরে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। ছবির ক্যাপশন: রোহিঙ্গারা রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে আসছেন, আশ্রয়শিবিরে নিরাপদ স্থানে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করছেন।
ad728

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আট বছরপূর্তিতে পশ্চিমা বিশ্বের ১১টি দেশ বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড যৌথ বিবৃতিতে এই অঙ্গীকার জানিয়েছে।

ঢাকায় সোমবার সকালে ফ্রান্স দূতাবাস যৌথ বিবৃতিটি তাদের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক পেইজে প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডের কারণে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করছে এবং নতুন arrivals এখনও আসছে।

যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রশংসা করা হয়েছে। দেশগুলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ জনগণকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, যারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়, নিরাপত্তা এবং মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে।

রোহিঙ্গারা তাদের নিজভূমিতে ফিরে যেতে চায়, তবে মিয়ানমারে এখনও এমন নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যাবাসনের সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তবে এখনই নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। বিবৃতিতে সব পক্ষকে প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

১১ দেশ মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সহিংসতা বন্ধ এবং মানবিক সহায়তার প্রবেশ নিশ্চিত করার জন্য আবারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া, অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।

বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানবিক সহায়তার তহবিল কমে আসার প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যতের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় বাংলাদেশি জনগণকেও সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি জানানো হয়েছে।

শেষে, যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের অর্থবহ অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে, যাতে তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতাশালী হতে পারে এবং বাংলাদেশে নিরাপদ, সম্মানজনক ও গঠনমূলক জীবন যাপন করতে পারে। ৮ বছর পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের পাশে অটল রয়েছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ