ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ৪ নভেম্বর

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 28, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ৪ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ছবির ক্যাপশন: ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ৪ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
ad728

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদক্রম নির্ধারণে ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ সম্পর্কিত রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানি আগামী ৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন শুনানির অনুমতি (লিভ মঞ্জুর) দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত জানান, ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি কার্যতালিকার শীর্ষে থাকবে।

গত ৩০ জুলাই রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়। তার ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি কার্যতালিকার এক নম্বরে ওঠে।

এর আগে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে রায় দেন। ওই রায়ে সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমমর্যাদায় আনা হয়। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

রায়ে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান করা হয়। এছাড়া রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মধ্যে স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্তদের এবং মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্তদের পদক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।

এই রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তৎকালীন পিএসসি চেয়ারম্যান পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলও পক্ষভুক্ত হন।

আদালতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, রিট আবেদনকারীর পক্ষে প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির এবং রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ সংশোধন হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব আতাউর রহমান রিট করেন। হাইকোর্ট ২০১০ সালে এ বিষয়ে দেওয়া রায়ে সংশোধিত ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স বাতিল ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে আপিল বিভাগ রায় দেন। সেই রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদনেই এখন সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি হতে যাচ্ছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ