ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার ১২ বছর পরও চালু হয়নি, সেপ্টেম্বরের মধ্যে কার্যক্রম শুরু হতে পারে

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 3, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার ভবন, ১২ বছর ধরে পরিত্যক্ত থাকার পর সংস্কার কাজ চলছে ছবির ক্যাপশন: লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার ভবন, ১২ বছর ধরে পরিত্যক্ত থাকার পর সংস্কার কাজ চলছে
ad728
ChatGPT said:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের জরুরি চিকিৎসার জন্য লোহাগাড়া উপজেলায় নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধনের ১২ বছর পরও চালু হয়নি। প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই কেন্দ্রটি ২০১৩ সালে উদ্বোধন করা হলেও জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে কার্যক্রম শুরু করা যায়নি।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ১৪৮ কিলোমিটার। সরু দুই লেনের এই সড়ক দুর্ঘটনাপ্রবণ হিসেবে পরিচিত। মহাসড়কের পাশে বিশেষায়িত হাসপাতাল না থাকায় হতাহত ব্যক্তিরা দ্রুত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, ২০০৭ সালে ২০ শয্যার লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টারের নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং ২০১২ সালে শেষ হয়। তিনতলা ভবনটিতে চিকিৎসা কর্মকর্তা, কনসালট্যান্ট, সার্জন, নার্স ও টেকনোলজিস্ট মিলিয়ে ২৭টি পদের সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে এসব পদে জনবল নিয়োগ ও যন্ত্রপাতি বরাদ্দ না থাকায় কেন্দ্রটি চালু হয়নি।

দোহাজারী হাইওয়ে থানার অধীনে থাকা মহাসড়কের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া অংশে এ বছর এখন পর্যন্ত ৫১টি দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশে কেন্দ্রটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য সরকার চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে। হাসপাতালটি প্রয়োজনীয় জনবল ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশেই অবস্থিত এই কেন্দ্রটি বর্তমানে সংস্কারের কাজ চলছে। শ্রমিকেরা জানায়, তিন সপ্তাহ ধরে ভবনটি ব্যবহার উপযোগী করতে কাজ চলছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসাইন জানান, প্রতিদিন অনেক হাড়ভাঙা রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। ট্রমা সেন্টার চালু হলে তারা দ্রুত চিকিৎসা পাবেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হবে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, দুর্ঘটনায় আহতদের বেশির ভাগ মৃত্যু হয় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে। দুর্ঘটনার পর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা দিলে অনেকের জীবন রক্ষা করা সম্ভব।

২০২১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গুত্ববরণ করা স্থানীয় বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, দুর্ঘটনার পর তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে চার ঘণ্টা লেগেছিল। ট্রমা সেন্টার চালু থাকলে হয়তো তিনি অঙ্গহানি এড়াতে পারতেন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দ্রুত চিকিৎসাসেবার জন্য ট্রমা সেন্টার নির্মাণ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ ছিল। তিনি সরকারের কাছে দ্রুত লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার চালুর দাবি জানান।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ