কক্সবাজারে কোনো হোটেলের বিরুদ্ধে নদী বা পরিবেশদূষণের অভিযোগ উঠলে শুধুমাত্র জরিমানা নয়, তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। আজ শনিবার দুপুরে হিলটপ সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বিশেষ সমন্বয় সভা’ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী বাঁকখালী নদী দূষণ ও দখলমুক্ত করার উদ্দেশ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়। নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর নদীর দখলদারদের সমন্বিত তালিকা তৈরি করে উচ্ছেদ করা হবে।
সভায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহ উদ্দীন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
বাঁকখালী কক্সবাজারের প্রধান নদী। হাইকোর্ট ২৪ আগস্টের আদেশে নির্দেশ দিয়েছে, নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিতে হবে। ওই নির্দেশনার এক সপ্তাহের মধ্যেই নৌপরিবহন উপদেষ্টা কক্সবাজার সফর করেন।
মামলার রায়ে বলা হয়, কক্সবালীর বাঁকখালী নদীর বর্তমান প্রবাহ ও আরএস জরিপের মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করে নদী সংরক্ষণ করতে হবে। নদীর সীমানায় থাকা সব দখলদারের তালিকা তৈরি করে চার মাসের মধ্যে উচ্ছেদ ও দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।