ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র সমন্বয়ক আটক প্রস্তাব দিয়েছিল ডিজিএফআই: সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 2, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দিচ্ছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। ছবির ক্যাপশন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ জবানবন্দি দিচ্ছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
ad728
ChatGPT said:

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকের প্রস্তাব দিয়েছিল প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)।

মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তিনি এই জবানবন্দি দেন। মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে আসামি চৌধুরী মামুন ইতিমধ্যে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। এ মামলায় তিনি ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন।

তিনি জানান, আন্দোলন শুরুর পর সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়। এরপর ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতিদিন রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় কোর কমিটির বৈঠক বসত। এসব বৈঠকে আন্দোলন দমনসহ বিভিন্ন সরকারি নির্দেশনা দেওয়া হতো।

কোর কমিটির বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন চৌধুরী মামুন, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব টিপু সুলতান ও রেজা মোস্তফা, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম, ডিএমপির ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন রশীদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক হারুন অর রশিদ, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক, এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের প্রধানরা।

চৌধুরী মামুন বলেন, এক বৈঠকে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটক করার প্রস্তাব দেয় ডিজিএফআই। তিনি শুরুতে এর বিরোধিতা করলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে রাজি হন। আটক অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবিপ্রধান হারুনকে। পরবর্তীতে ডিজিএফআই ও ডিবি সমন্বয়কারীদের আটক করে ডিবির হেফাজতে নিয়ে আসে।

তিনি আরও জানান, ডিবি হেফাজতে এনে সমন্বয়কারীদের ওপর আন্দোলন প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়। তাঁদের আত্মীয়স্বজনকেও ডিবিতে এনে চাপ প্রয়োগ করা হয়। শেষ পর্যন্ত সমন্বয়কারীদের টেলিভিশনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় ডিবিপ্রধান হারুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জবানবন্দিতে চৌধুরী মামুন আরও উল্লেখ করেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ডিবিপ্রধান হারুনকে ‘জিন’ বলে ডাকতেন এবং সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তিনি পারদর্শী ছিলেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ