যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত হোক—এ দাবিতে সবাই একমত। কিন্তু অধিগৃহীত জমির নামমাত্র মূল্য নির্ধারণে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয়রা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে শতকপ্রতি কোটি টাকার জমি মাত্র ৬–১০ লাখে আর উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় ৫–১০ লাখ টাকার জমি ২৫–৩০ হাজারে নির্ধারণ করায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
রবিবার সকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ৪৭ কিলোমিটার মহাসড়কের দু’ধারের জমি ও স্থাপনার মালিকরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা পরিষদে গিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন আলমের হাতে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের উদ্দেশে স্বারকলিপি দেন তারা।
এর আগে ক্ষতিগ্রস্তরা উপজেলা গেটের সামনে আধা ঘণ্টা ঢাকা–খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নিলেও ক্ষোভ কমেনি।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, সাংবাদিক জামির হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম তোহিদসহ ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকরা। সমর্থন জানিয়ে বক্তব্য দেন কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল ও ইলিয়াস রহমান মিঠু।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ৭ আগস্ট ৮ ধারার নোটিশে যে মূল্য ধরা হয়েছে তা একেবারেই হাস্যকর। কোটি টাকার জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে নামমাত্র অঙ্কে, যা তাদের পথে বসিয়ে দেবে। তারা ফ্লাইওভারের নিচে অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ বন্ধ, জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং অর্ধশত বছর আগের মৌজা রেট বাতিল করে বর্তমান বাজার মূল্যে ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
দাবি না মানলে হরতাল, অবরোধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
নিউজটি পোস্ট করেছেন :
Jashore Now