ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিজয়নগরে সীমানা পুনর্নির্ধারণে প্রতিবাদ, মহাসড়ক অবরোধে তীব্র যানজট

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Sep 7, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে বিজয়নগরে মহাসড়ক অবরোধ, রোববার দুপুরে তোলা ছবি। ছবির ক্যাপশন: সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে বিজয়নগরে মহাসড়ক অবরোধ, রোববার দুপুরে তোলা ছবি।
ad728

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর–বিজয়নগর) আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রতিবাদে বিজয়নগর উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চান্দুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

অবরোধের কারণে ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে সরাইলের শাহবাজপুর থেকে বিজয়নগরের ইসলামপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। এতে দূরদূরান্তের যাত্রী, পথচারী ও সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েন।

বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে এবং দুটি ট্রাক রাস্তার মাঝখানে দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ চালান। এ সময় তাঁরা ‘অখণ্ড বিজয়নগর’ রক্ষার দাবিতে নানা স্লোগান দেন।

সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে। এক ব্যক্তির স্বার্থে বিজয়নগরকে ভাগ করা হয়েছে, আমরা তা মেনে নেব না। বিজয়নগরকে আগের মতো সদর আসনের সঙ্গে রাখতে হবে।”

পটভূমি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদের ৩৭টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশ করে। এতে বিজয়নগরের বুধন্তী ও চান্দুরা ইউনিয়নকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসন থেকে কেটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল–আশুগঞ্জ) আসনে যুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে ইসি প্রকাশিত খসড়া তালিকায় বিজয়নগরের বুধন্তী, চান্দুরা ও হরষপুর ইউনিয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছিল। শুনানিতে বিএনপির রুমিন ফারহানা এই পরিবর্তনের পক্ষে অবস্থান নেন। বিপক্ষে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব (শ্যামল) এবং এনসিপির নেতা আতাউল্লাহ।

ইসির গেজেট প্রকাশের পর রুমিন ফারহানার অনুসারীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও বিজয়নগরের বিপুল সংখ্যক মানুষ বিষয়টি মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের দাবি

বিক্ষোভ-সমাবেশে বক্তারা জানান, বিজয়নগরের ১০ ইউনিয়নের মধ্যে কেবল ২টিতে প্রায় ৬০ হাজার ভোটার রয়েছেন, যা পুরো উপজেলার এক-চতুর্থাংশ। দুই লক্ষাধিক ভোটারবিশিষ্ট বিজয়নগর একটি পূর্ণাঙ্গ সংসদীয় আসনের যোগ্য হলেও বছরের পর বছর এটিকে কখনো সদর, কখনো সরাইল, আবার কখনো নাসিরনগরের সঙ্গে যুক্ত করে অবহেলিত করা হচ্ছে।

তাঁরা সরাইলে নয়, সদর আসনের সঙ্গেই থাকতে চান বলে উল্লেখ করেন। বক্তারা আরও বলেন, “আমাদের ঠিকানা যেমন আছে, তেমনই থাকতে হবে। বিজয়নগরকে নিয়ে রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করতে হবে।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ