ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বিকল্প খোঁজ: আরব আমিরাত হতে পারে নতুন কেন্দ্র

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 28, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে মার্কিন বাজারের বিকল্প খুঁজছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা; আরব আমিরাতকে দেখা হচ্ছে নতুন সম্ভাবনাময় উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে। ছবির ক্যাপশন: শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাবে মার্কিন বাজারের বিকল্প খুঁজছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা; আরব আমিরাতকে দেখা হচ্ছে নতুন সম্ভাবনাময় উৎপাদনকেন্দ্র হিসেবে।
ad728
ChatGPT said:

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথ খুঁজতে শুরু করেছেন। এর পরপরই রাশিয়ার তেল আমদানির কারণে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই শুল্ক গতকাল বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।

পরামর্শক সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, শুল্ক ঘোষণার পর ভারতীয় ব্যবসায়ীদের পরামর্শ নেওয়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, অনেক রপ্তানিকারক এখন উৎপাদন কেন্দ্র অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের প্রধান নির্বাহী জানান, প্রথম ধাপের শুল্ক ঘোষণাকে অনেকে কৌশল মনে করেছিলেন। তবে দ্বিতীয় ধাপে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ব্যবসায়ীরা বুঝতে পারছেন, যুক্তরাষ্ট্র-ভারত চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে অনেক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে আরব আমিরাতে যৌথ উদ্যোগ বা বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে।

গয়না শিল্পেও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ভারতীয় বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান এখন আরব আমিরাতে ডিজাইন ও উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে। সরাসরি ভারত থেকে রপ্তানি করলে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। তবে আরব আমিরাতে উৎপাদন করলে শুল্ক হবে মাত্র ১০ শতাংশ।

দুবাইভিত্তিক গয়না ব্যবসায়ী আনাইল ধানক সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ট্রাম্প প্রায়ই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। আগামী এক মাসে শুল্কহারে পরিবর্তন আসতে পারে।” তিনি আরও জানান, স্বর্ণের দাম বেশি থাকায় খরচ মেটানো কঠিন হচ্ছে, তাই নতুন প্রতিশ্রুতিতে তারা আগ্রহী নন।

ট্রাম্প প্রশাসন সব ভারতীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ করেনি। ভারতের ওষুধ ও প্রযুক্তিপণ্য শুল্কের বাইরে রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাপল যদি ভারত থেকে আইফোন রপ্তানি করে, তা যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কমুক্ত থাকবে।

বারজিল জিওজিৎ ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের সিইও কৃষ্ণন রামচন্দ্রন জানান, আরব আমিরাতে উৎপাদন করলে ভারতীয় গয়না ব্যবসায়ীদের জন্য রপ্তানি শুল্ক হবে ১০ শতাংশ, তবে শর্ত হলো উৎপাদন ও মূল্য সংযোজন স্থানীয়ভাবে হতে হবে।

সোভারিন গ্রুপের জ্যেষ্ঠ ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপক অক্সানা সুখার বলেন, ভারতীয় কোম্পানিগুলো সব সময় আরব আমিরাতে ব্যবসা সরিয়ে নেওয়ায় আগ্রহী। এখন তারা বিশেষভাবে বিবেচনা করছে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির জন্য কোন কেন্দ্র সবচেয়ে লাভজনক হবে। তার মতে, আরব আমিরাত একটি শক্তিশালী বিকল্প।

এমসিএ গালফের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ভেঙ্কটেশ সান্তনাম জানান, টেক্সটাইল, ধাতু, যান্ত্রিক পণ্য, রাসায়নিক, ওষুধ এবং আইটি সেবায় ভারতীয় ব্যবসার উপস্থিতি আরব আমিরাতে আগে থেকেই রয়েছে। ফলে নতুন শুল্কনীতির সুযোগ গ্রহণে তারা সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।

২০১৮ সালে ট্রাম্প চীনা পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে অনেক চীনা উৎপাদক বিকল্প হিসেবে ভিয়েতনামে চলে যান। কম শ্রম খরচ, উন্নত রপ্তানি সুবিধা এবং সহজ সরবরাহ ব্যবস্থার কারণে সে সময় ভিয়েতনামে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ