খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম-ছাত্র জনতা’র ডাকা অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে গুইমারায় রামেসু বাজারে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনায় বাজারের বেশ কয়েকটি দোকান ও পাশের বসতঘর পুড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের ধাওয়া–পাল্টাধাওয়ার পর ২০–২৫ জন মুখোশধারীসহ কয়েকজন লোক বাজার ও বসতবাড়িতে লুটপাট চালায় এবং মোটরসাইকেলসহ দোকানপাটে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করলেও গুইমারা থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, পাহাড়ি–বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও সংঘর্ষ হয়।
অবরোধ কর্মসূচির কারণে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি, খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের দোকানপাট বন্ধ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখার উদ্দিন খন্দকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন—“একটি পক্ষ পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করে ফায়দা লুটতে চাইছে।”
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্বজনেরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশ ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে।