বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভা ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সভাটি ঢাকায় নাকি সিলেটে হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে ওই সভার প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে বিসিবির আসন্ন নির্বাচন।
সভার মধ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন হতে পারে এবং সভা শেষে তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন আগামী অক্টোবরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বিসিবির পরবর্তী সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে আলোচনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আলোচনায় বর্তমান সভাপতি ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামের নামও রয়েছে।
ফারুক আহমেদকে সরিয়ে এনএসসি মনোনীত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেন আমিনুল ইসলাম। দায়িত্ব নেওয়ার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, দ্রুত গতির একটি সংক্ষিপ্ত মেয়াদ পার করে দায়িত্ব ছাড়তে চান। তবে এখন তিনি দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
তবে আমিনুল স্পষ্ট করেছেন, তিনি বিসিবির নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তিনি বলেন, “আমার নির্বাচন করার কোনো সম্ভাবনা নেই— কারণ, আমার কোনো ক্লাব নেই, আমি কোনো বিভাগ থেকেও আসিনি।”
তবে নির্বাচন ছাড়া সভাপতি হওয়ার বিষয়ে তাঁর আপত্তি নেই। তিনি জানান, যদি এনএসসি তাঁকে আবারও পরিচালক হিসেবে মনোনীত করে এবং পরবর্তীতে পরিচালকদের সিদ্ধান্তে সভাপতি করা হয়, তবে তিনি দায়িত্ব নিতে রাজি আছেন। আমিনুলের ভাষায়, “আমি কারও কাছে ভোট চাইতে যাব না। যদি আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, নাহলে কিছু করার নেই।”
দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার পেছনে কারণ হিসেবে তিনি অসমাপ্ত কাজের কথা উল্লেখ করেন। আমিনুল বলেন, “যে কাজগুলোতে হাত দিয়েছি, আমি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে এসেছিলাম বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই কাজগুলো করার জন্যই। তবে যদি ক্রীড়া পরিষদ বলে ধন্যবাদ, আমি চলে যাব।”