বুয়েট শিক্ষার্থীরা শাহবাগ অবরোধ, যানজটের সৃষ্টি
ঢাকা, ২৬ আগস্ট — বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে। এতে ওই এলাকার যানচলাচল বন্ধ হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বড় ধরনের যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
প্রথমে সোমবার (২৫ আগস্ট) ‘ব্লকেড অব ইঞ্জিনিয়ার্স’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। মঙ্গলবারের এই কর্মসূচি সেই ঘোষণার অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের তিনটি দাবির বাস্তবায়নের জন্য এ অবরোধ করেন।
প্রধান দাবি হলো বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও প্রকৌশলী রোকনুজ্জামান রোকনের উপর হওয়া হত্যার হুমকির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষকে দ্রুত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
এর পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অন্য দুটি দাবি হলো — ছাত্র ও প্রকৌশল সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাবিত বিভিন্ন ঘটনার দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ এবং প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন।
সাক্ষীদের মতে, শাহবাগ ও আশেপাশের সড়কগুলোতে যানজট দেখা দেয়। যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয় এবং গণপরিবহন সেবায় বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ মোতায়েন থাকলেও শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ব্যানার ধারণ ও স্লোগান দিতে থাকেন।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা আগে থেকেই বিভিন্ন সময় নিরাপত্তা ও দায়-দায়িত্ব সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। এই প্রতিবাদও সেই ধারার অংশ হিসেবে সংগঠিত হয়েছে।
শাহবাগ অবরোধের কারণে সড়ক ও যানপরিবহন কর্তৃপক্ষ commutersদের বিকল্প রুট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এই এলাকায় যে কোনো ধরনের বিঘ্ন শহরের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
শিক্ষার্থী নেতারা দাবি করেছেন, তাদের দাবিগুলি দ্রুত পূরণ না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় আন্দোলন হতে পারে। তারা প্রশাসন ও সরকারের কাছে নিরাপত্তা এবং অন্য দাবির বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলনের খবর প্রচারিত হয়েছে। অনেক পথচারী ও যাত্রী দীর্ঘ সময় যানজটে আটকা পড়েন।
প্রতিবাদের পর শিক্ষার্থীরা সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহবাগ থেকে সরেন। প্রশাসন পরিস্থিতি মনিটর করছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই আন্দোলন প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা এবং অধিকার নিয়ে চলমান উদ্বেগকে ফুটিয়ে তুলেছে। সরকারের প্রতিক্রিয়া এবং দাবির বাস্তবায়ন ভবিষ্যতে বুয়েট ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিত নির্ধারণ করবে।