ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির-সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়েরকারী নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেছে। একইসঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী নেত্রীদের হেনস্তা ও নারী শিক্ষার্থীদের সাইবার বুলিংয়ের বিরুদ্ধেও তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
দুপুরে ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা টিএসসিতে সমবেত হয়ে মিছিল বের করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগান দেন— “এসো ভাই, এসো বোন, গড়ে তুলি অঙ্গীকার”, “আলী হোসেনের ছাত্রত্ব বাতিল করতে হবে”, “নিপীড়কের ঠিকানা এই ক্যাম্পাসে হবে না।”
অবস্থান কর্মসূচিতে রোকেয়া হল ছাত্রদলের আহ্বায়ক শ্রাবণী আক্তার অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যক্রমে নারীদের সীমিত অংশগ্রহণের জন্য অনেকাংশে পুরুষ শিক্ষার্থীরাই দায়ী। তিনি ডাকসু নির্বাচনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
শামসুন্নাহার হল শাখার আহ্বায়ক বীথি হাসান বলেন, “আমরা যখন প্রতিবাদ করি তখন আমাদের হেনস্তা করা হয়। আমাদের নিয়ে সাইবার বুলিং হয়, এমনকি গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়। একটি গোষ্ঠী সব সময় আমাদের দমিয়ে রাখতে চায়।”
হুমকিদাতা শিক্ষার্থী আলী হোসেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তিনি ফেসবুকে লেখেন, “হাইকোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে গণধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত।”
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের নেতা আবদুল কাদের বলেন, “রিটকারী নারী প্রার্থীকে লিগ্যালি ও পলিটিক্যালি মোকাবিলা না করে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া জঘন্য কাজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের সংস্কৃতি চলতে দেওয়া হবে না।”
এদিকে, নারী প্রার্থীকে হুমকির ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। মঙ্গলবার মধুর ক্যানটিনের সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যাটফর্মটির সদস্যরা ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করে ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।