ঢাকা | , ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেশবপুরে অতিবৃষ্টিতে ৫ হাজার হেক্টর জমির আমন ধান চাষ অনিশ্চিত

Jashore Now
নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 10, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন: কেশবপুরের বিলজুড়ে জমে থাকা বৃষ্টির পানি, যা আমন ধানের চাষকে প্রভাবিত করেছে। ছবির ক্যাপশন: কেশবপুরের বিলজুড়ে জমে থাকা বৃষ্টির পানি, যা আমন ধানের চাষকে প্রভাবিত করেছে।
ad728
ChatGPT said:

কেশবপুরে অতিবৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মৌসুমের শুরুতেই ৪২০ হেক্টর বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর আমন ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ হাজার ৫৫০ হেক্টর। এর মধ্যে সাড়ে ৫শ’ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু জুলাইয়ের শুরুতে দুই দফা ভারি বৃষ্টিপাতে কেশবপুর পৌরসভা ও আশপাশের বিল-খাল প্লাবিত হয়, ফলে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

গত ৭ আগস্ট সরেজমিনে দেখা গেছে, আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে ধান চাষ হয়ে থাকে এমন বিলগুলো বৃষ্টির পানিতে থৈ থৈ করছে। পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় শুধু আমন নয়, আগামীতেও বোরো মৌসুমে চাষাবাদ ঝুঁকিতে পড়বে।

কালিয়ারই গ্রামের কৃষক অশোক কুমার রায় জানান, অতিবৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত এবং উঁচু জমির আউশধান তলিয়ে গেছে। আমনের জন্য প্রস্তুত বীজতলাও নষ্ট হয়েছে। মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদহ গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, বিলজুড়ে এত পানি জমেছে যে আউশ চাষ তো দুরে থাক, বোরো মৌসুমও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বাগদহ মজিদপুরের তসির উদ্দিন খান জানান, তার ৪ বিঘা জমির পাটের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। সাধারণত পাট কাটার পর আমন ও পরে বোরোধান চাষ করতেন, কিন্তু এবার অতিবৃষ্টির কারণে বোরো চাষও অনিশ্চিত। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হলে হাজারো কৃষক মারাত্মক দুর্ভোগে পড়বেন।

আঠন্ডা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে বিল এলাকায় আর কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। অনেকেই পেশা বদল করে শহরে রিকশা চালাতে বাধ্য হচ্ছেন।

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. রুস্তম আলী জানান, প্লাবনের কারণে বিল এলাকায় ফসল উৎপাদনের সুযোগ শেষ হয়ে গেছে। অনেক কৃষক ইতিমধ্যে জীবিকার জন্য গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেছেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : Jashore Now

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ