রাজধানীর কাফরুলে সুমি আক্তার (২১) নামের এক তরুণীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তাঁর সাবেক স্বামী মো. শফিকুল ইসলাম কাজী (২৬)। তবে শেষ রক্ষা হয়নি—নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার কলাগাছিয়া এলাকা থেকে শনিবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শফিকুলকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল সুমি ও শফিকুলের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের একটি পাঁচ বছরের ছেলে রয়েছে। পারিবারিক কলহের জেরে গত ৩০ জুন তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। তবুও তাঁরা পাশাপাশি বাসায় থাকতেন। ছেলে বাবার কাছে থাকায় সুমি প্রায়ই খাবার নিয়ে ছেলের কাছে যেতেন।
গত ২১ জুলাই সন্ধ্যায় সুমি ছেলের জন্য খাবার নিয়ে যান শফিকুলের বাসায়। রাত তিনটার দিকে শফিকুল ছেলেকে নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয় এবং তিনি পালিয়ে যান। পরদিন সকাল ৯টায় বাসার তালা ভেঙে খাটের নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো সুমির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল।
এ ঘটনায় সুমির পরিবার কাফরুল থানায় হত্যা মামলা করে। অবশেষে গ্রেপ্তারের পর আদালতে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন শফিকুল।
নিউজটি পোস্ট করেছেন :
Jashore Now